দিনাজপুরের সুনাম ধন্য চাউল ব্যবসায়ি এ.কে.দাস এর চাউল খাওয়ার অনুপোযোগী চাউল পালিশ করে ক্রেতাদের মাঝে বিক্রি করার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার এ.এইচ.এম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী ১৮ এপ্রিল রোববার করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন হাট-বাজারে পরিদর্শন করেন। এসময় রেল বাজার হাট সংলগ্ন মেসার্স আদর্শ চাউল ঘর এর মিলে জনগণের ব্যবহারের অনুপযোগী পোঁকা ধরা ও স্যাতসেতে চাউল পালিশ করে বাজারে পুনরায় বিক্রি করার জন্য প্রস্তুতিকালে হাতেনাতে ধরা পরে।

পরবর্তীতে মেসার্স আদর্শ চাউল ঘরের স্বত্বাধিকারী খন্দকার শওকত আলী জানান, উক্ত চাউল গুলো মেসার্স একে দাসের চাউল তারা এই চাউল গুলো পালিশ করার জন্য আমার এই মিলে নিয়ে এসেছে, সেই চাউল পালিশ পালিশ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে একে দাস এর স্বত্বাধিকারী উক্ত মিলে আসলে তার নিকট হতে সত্যতা জানতে চাইলে তিনি দিনাজপুর সদও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এইচ.এম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী এর নিকট সত্যতা স্বীকার করেন।

মেসার্স একে দাসের স্বত্বাধিকারী বলেন এখানে আমার মোট ১৬ বস্তা চাউল পালিশ করারার জন্য দেওয়া রয়েছে যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা।

দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার এ.এইচ.এম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালীন সময়ে একে দাস এর স্বত্বাধিকাররীকে ডেকে উক্ত চাউল স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে বিক্রয়ের উপযুক্ত প্রমান সহ কাগজপত্র উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকট প্রেরণ করার জন্য নির্দেশনা দেন এবং এই চাউল গুলো পালিশ করে নতুন করে বাজার জাত প্রক্রিয়া করে বিক্রি না করার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশনা প্রদান করেন।